শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সামুদ্রিক লোনা পানির কোরালের কৃত্রিম প্রজনন তৈরি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সামুদ্রিক লোনা পানির কোরালের কৃত্রিম প্রজনন তৈরি করা হয়েছে। কক্সবাজারের বেসরকারি হ্যাচারি গ্রিন হাউজ মেরিকালচারের প্রচেষ্টায় তা সফল হয়েছে। ফলে এখন থেকে সামুদ্রিক কোরালের চাষ করা যাবে পুকুরেও। একই সঙ্গে এই মাছ সমুদ্রের লোনা পানির খাঁচা, উপকূলের স্বল্প লোনা পানির পুকুর ও মিঠা পানির পুকুরে চাষ করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট মৎস্য গবেষকরা।

গ্রিন হাউজ মেরিকালচার হ্যাচারির প্রধান গবেষক মোদাব্বির আহমেদ খন্দকার পলাশ জানিয়েছেন, দীর্ঘ গবেষণার পর গত ৪ নভেম্বর কোরালের কৃত্রিম প্রজনন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে হ্যাচারির স্পনিং ট্যাংকে একটি মা কোরাল ১০ লাখ ডিম ছাড়ে এবং সেখান থেকে ছয় লাখ রেণু পোনা জন্ম নেয়। এসব রেণু পোনা বর্তমানে হ্যাচারিতে প্রতিপালন করা হচ্ছে। রেণু বড় হলে ক্রমান্বয়ে সেগুলো নার্সারি পুকুরে ও চাষাবাদ পুকুরে চাষ করা হবে। এই মাছ সমুদ্রের লোনা পানির খাঁচা, উপকূলের স্বল্প লোনা পানির পুকুর ও মিঠা পানির পুকুরে চাষ করা যাবে।’

তিনি জানান, গ্রিন হাউজ মেরিকালচারের এই উদ্যোগটি বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ও বিশ্বব্যাংক এর অর্থায়েন বাস্তবায়নাধীন ‘টেকসই উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক মৎস্য প্রকল্প’ থেকে গবেষণার ক্ষেত্রে আংশিক সহায়তা করা হয়। এই কাজের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন তিনি।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বলেন, ‘২০১৮ সালে সোনাদিয়া দ্বীপে গিয়ে প্রাকৃতিক নিয়মে আমরা পুরুষ কোরাল থেকে বাচ্চা প্রজননের ব্যবস্থা করেছিলাম। কৃত্রিম উপায়ে কোনো প্রতিষ্ঠান প্রজনন করেছে কি-না তা মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে রেকর্ড নেই। তবে ১৮ নভেম্বরের পরে এক সপ্তাহের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সামুদ্রিক কোরাল থেকে কৃত্রিম প্রজননের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এ নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চলছে।’

গ্রিণহাউজ মেরিকালচারের ব্যবস্থাপক তারিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ২০ মাসের গবেষণা শেষে এই কৃত্রিম প্রজনন তৈরি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকাসহ অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশও কোরাল উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের রপ্তানিখাতে একটি নতুন পন্য যোগ করতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888